"ধানমন্ডি গার্লসের সামনে দাঁড়ায় আছি। এখনই স্কুল ছুটি হবে । একটা মাইয়ারে
আমার খুব পছন্দ হয় । ##য়া নাম । মেয়েটারে বেশ কয়েকবার লাভ প্রপোজ করছি, আমারে খালি
ইগ্নর করে । কিন্তু ভাই "কাঁটা হেরি ক্লান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ
বিনা সুখ লাভ হয় কী মহীতে" । ওই মাইয়ারে আমার লাগবই । এলিফেন্ট
রোডের থেইকা কনভার্স কিনছি, বসুন্ধরা থেইকা ফুল হাতা শার্ট কিনছি, প্যন্টটাও ঐখান
থেকা কিনা । ভাব মারতে গিয়া বেন্সন খাইতাছি । । এত কিছু কইরাও মাইয়ার মন না পাইলেতো
এলাকায় বদনাম হইয়া যাইবো । আমার এলিয়নটা রেডিই । ড্রাইভারে আগেই বখশিশ দিয়া পাঠায়
দিছি । এখন ওই যায়গায় ই##ন বইসা আছে । মাইয়ারে আজকে তুইল্লাই লইয়া যাব ......"
বক্তব্যটা আমার না । একজন ঈভ টিজারের , আমার মনে হয় ঈভ টিজিং এর ব্যাপারে এর থেইকা
আর বড় কোনো সংজ্ঞা নাই । শুধু ধানমন্ডি না আমার মনে হয় সারা বাংলাদেশেই এখন এই
কান্ড ।সেদিন লেইকে আড্ডার সময় একটা ছেলে এই কথাই বেশ গর্বের সাথে বলছিল ।
উপসংহারটা আর বললাম না । জোর করে মেয়েদের সাথে প্রেম করার ইচ্ছাই ঈভ টিজিং এর
মূলকারন । তবে ঈভটিজারদের বড় অংশই মেয়েটার তুলনায় অনেক বড় । যখন ১৪-১৫ বছরের একটা
ছেলে ১৩-১৪ বছরের একটা মেয়েকে টিজ করে তখন যতটুকু খারাপ লাগে, এর চেয়েও বেশি খারাপ
লাগে যখন ৩৫-৪০ বছরের লোক ১৩-১৪ বছরের একটা মেয়েকে বিরক্ত করে তখন আমার এর চেয়েও
বেশি খারাপ লাগে । কারন তাদের হলুদ দাঁত আর ময়লা শার্ট মেয়েদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে
ওঠে । আর তাদের লোলুপ দৃষ্টি আর অশালীন মন্তব্য একটা ছেলের থেকে অনেক বেশী ।
সেই ছেলেটার সাথে মেয়েটার প্রেম এখন প্রায় দুমাসের । তাই আমি তখন ছেলেটাকে কিছু বলি
নাই। কিন্তু ঈভটিজাররা যে বয়সীই হোক না কেন আমাদের তাদের ধইরা মাইর দেওয়া উচিৎ ।
ব্লগার বন্ধুরা আপনাদের দেখা বা শোনা ঈভ টিজিংএর ঘটনা কমেন্টে শেয়ার করুন ।
চকলেট ছেলে
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন